স্থানীয় সেক্রেটারিদের প্রতি দিকনির্দেশনা
১. নামায ও কোরআন শতভাগ করার জন্য বড় ও মাঝারি লাজনাগুলোতে হালকার পকেটগুলোয় নিগরান তৈরী করে নিগরানির ব্যবস্থা করুন। একইভাবে ছোট লাজনাগুলো যাদের সদস্যা সংখ্যা একটু বেশি তারাও নিগরান তৈরী করে নিগরানির ব্যবস্থা করতে পারেন। যাদের নামাযে ও কোরআন তেলাওয়াতে দুর্বলতা আছে তাদের নামের তালিকা তৈরী করে স্থানীয় প্রেসিডেন্ট/জেলা সদর/তরবিয়্যত সেক্রেটারী তাদের উক্ত বিষয়গুলোর ফযিলত বুঝিয়ে নিয়মিত করার ব্যবস্থা করা। যদি তাতেও কাজ না হয় তবে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীদের অথবা সদর সাহেবাকে ফোন নম্বরসহ অবহিত করুন। কতখানি অগ্রগতি হল তা প্রতি মাসে অবহিত করুন।
২. জামাতী সভা ও প্রোগ্রামগুলোতে উপস্থিতি ১০০% করার জন্য পকেট মিটিং করার নির্দেশনা সদর সাহেবা আগেই দিয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যতদিন আমরা মসজিদে অথবা হালকায় কোন সভা করতে না পারছি সেই ক্ষেত্রে এখন যেমন অনেকেই অনলাইনে আমেলা সভা, সাধারন সভা, অনলাইন কোরআন ক্লাস, নযম ক্লাস এবং আরও অনেক কাজ করছেন সেই একইভাবে যারা এখনও শুরু করেননি, শুরু করতে পারেন। কতজন যুক্ত হয়ে মিটিং করলেন সেই মাসিক রির্পোট ফর্মে কেন্দ্রকে জানাবেন। আর যখনই মসজিদে যেতে আর কোন বাঁধা থাকবেনা তখন আগের মত সব কাজ মসজিদে গিয়ে করবেন।
৩. বয়াতের শর্তগুলো যেন সবাই নিয়মিত পড়ে তার ব্যবস্থা নিন। এবং কতজন শর্তগুলো পড়লো তার রির্পোট কেন্দ্রকে জানাবেন।
৪. হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর লেখা বই হতে বাংলা অনুদিত ৩৮টি বই পড়া কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের নিয়মগুলো হল:
ক. প্রত্যেক সদস্যাকে ব্যক্তিগত ভাবে ৩৮টি বই পড়তে হবে।
খ. একটি ডাইরী তৈরী করুন যাতে পঠিত বইয়ের চুম্বক অংশ তুলে রাখবেন। চুম্বক অংশ লেখার ক্ষেত্রে বইয়ের নাম এবং পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করুন।
গ. পুরষ্কার তারাই পাবেন, যারা ডাইরীটি শতবার্ষিকী উৎযাপন অনুষ্ঠানের সময় কেন্দ্রে জমা দিবেন।
৫. প্রত্যেক লাজনা সদস্যাকে এমন পর্দা পালনকারী হতে হবে যেন সর্বক্ষেত্রে খোদাভীতি অন্তরে লালন করে পর্দা করার অভ্যাস গড়ে তোলে। এ উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রেসিডেন্ট/তরবিয়্যত সেক্রেটারী স্থানীয় উদ্যোগে সেমিনার, উন্মুক্ত আলোচনা বা আলাদাভাবে প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে সকলকে পর্দার গুরুত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করাতে পারেন।