
তরবিয়্যত
সাংগঠনিক দায়িত্ব
১। সেক্রেটারী তরবিয়্যত এর দায়িত্ব সদস্যাদের হৃদয়ে ইসলামী নীতিসমূহ ভালোভাবে গেঁথে দিতে তিনি অবিরাম প্রচেষ্টা চালাবেন ।
২। যেসব আহমদী মহিলার আধ্যাত্নিক ও নৈতিক প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে, এরূপ মহিলাদের সংশোধনের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
৩। জামাতের মহিলাদের মাঝে পর্দার ব্যবহার বা পালন বৃদ্ধির জন্য তিনি চেষ্টা করবেন আর এর পরিপন্থী প্রবণতার বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে এরূপ প্রবণতা জামাতে শিকড় না গাড়ে।
৪। অ-ইসলামী চর্চা ও অসুস্থ প্রথা যেন জামাতের মহিলাদের মাঝে প্রচলিত না হতে পারে, তিনি সেজন্য প্রয়োজনীয় উপায় অবলম্বন করবেন।
স্থানীয় সেক্রেটারীদের প্রতি নির্দেশনাঃ
১. নামায ও কোরআন শতভাগ করার জন্য বড় ও মাঝারি লাজনাগুলোতে হালকার পকেটগুলোয় নিগরান তৈরী করে নিগরানির ব্যবস্থা করুন। একইভাবে ছোট লাজনাগুলো যাদের সদস্যা সংখ্যা একটু বেশি তারাও নিগরান তৈরী করে নিগরানির ব্যবস্থা করতে পারেন। যাদের নামাযে ও কোরআন তেলাওয়াতে দুর্বলতা আছে তাদের নামের তালিকা তৈরী করে স্থানীয় প্রেসিডেন্ট/জেলা সদর/তরবিয়্যত সেক্রেটারী তাদের উক্ত বিষয়গুলোর ফযিলত বুঝিয়ে নিয়মিত করার ব্যবস্থা করা। যদি তাতেও কাজ না হয় তবে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীদের অথবা সদর সাহেবাকে ফোন নম্বরসহ অবহিত করুন। কতখানি অগ্রগতি হল তা প্রতি মাসে অবহিত করুন।
২. জামাতী সভা ও প্রোগ্রামগুলোতে উপস্থিতি ১০০% করার জন্য পকেট মিটিং করার নির্দেশনা সদর সাহেবা আগেই দিয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যতদিন আমরা মসজিদে অথবা হালকায় কোন সভা করতে না পারছি সেই ক্ষেত্রে এখন যেমন অনেকেই অনলাইনে আমেলা সভা, সাধারন সভা, অনলাইন কোরআন ক্লাস, নযম ক্লাস এবং আরও অনেক কাজ করছেন সেই একইভাবে যারা এখনও শুরু করেননি, শুরু করতে পারেন।