হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী
(সানাত ও দাস্তকারী)
সাংগঠনিক দায়িত্ব
সেক্রেটারী হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী প্রধানত নিম্নলিখিত দুটি ক্ষেত্রে তাঁর কাজ সংগঠিত করবেনঃ
৭৯। জাতীয় লাজনার সদরের অনুমতিক্রমে তিনি হস্ত শিল্পের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবেন- প্রথমত, আহমদী মহিলাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য এবং দ্বিতীয়ত,বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য।
৮০। প্রদর্শনীর হিসাবপত্র নিয়মিতভাবে রক্ষা করা সেক্রেটারী সানাৎ দাস্তকারীর দায়িত্ব।
৮১। তিনি বছরব্যাপী স্থানীয় মজলিস সমূহে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীগুলোর বার্ষিক রিপোর্ট তৈরী করবেন এবং জাতীয় মজলিসে আমেলার নিকট তা পেশ করবেন।
৮২। তিনি লাজনার সদস্যা বা শাখা গুলো কতৃক প্রদর্শিত দ্রব্যাদি সংগ্রহ, প্রদর্শন, বিক্রয় এবং নিরাপদে ফেরত দেয়ার জন্য দায়ী থাকবেন।
৮৩। প্রদর্শনীর ব্যাপারে সদস্যাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং এর উন্নতির জন্য পথ ও পন্থা খুঁজে বের করা এবং অবিরাম প্রচেষ্টা চালানো তার দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।
৮৪। তিনি যেসব দ্রব্যাদি তৈরী করা লাভজনক মনে করেন সেসব দ্রব্যাদি তৈরী করানোর কর্তৃত্ব তার থাকবে, এরূপ দ্রব্যাদি কোন অবস্থাতেই তাহরীক-ই-জাদীদের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হতে পারবেনা।
৮৫। প্রদর্শনীতে প্রদর্শনের জন্য প্রাপ্ত সকল দ্রব্যের সম্পূর্ন রেকর্ড রাখা তার দায়িত্ব। প্রদর্শনীতে নিম্নবর্ণিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা যেতে পারেঃ
ক) প্রদর্শনীতে দান করা হয়েছে এমন দ্রব্য সামগ্রী।
খ) বিক্রির জন্য দ্রব্যাদি।
গ) বিভিন্ন এলাকার হস্তশিল্প সামগ্রী।
৮৬। কেবলমাত্র সেসব দ্রব্যাদি প্রতিযোগীতা এবং পুরস্কারের জন্য গ্রহণ করা হবে যেগুলো হাতে এবং সদস্যাগণের দ্বারা তৈরী। যেগুলো পুরস্কারের জন্য পাঠানো হবে সেগুলোকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
পূর্বকথা
১৯২৬ সালের অক্টোবরের গোড়ার দিকে ( ভলিউম ১ -লাজনার ইতিহাস) অনুসারে, সানাৎ ও দাস্তকারী বিভাগটি তার যাত্রা শুরু করে। সেসময় জামাতের মহিলারা জামাতের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাদের হাতে বোনা এবং তৈরী সুতির পোশাক বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বছরের অক্টোবর মাসে হযরত মির্যা বশির আহমদ (রাঃ) সাহেবের বাড়িতে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এখানে কিছু আইটেম বিক্রি করা হয়েছিল এবং এ থেকে যা আয় হয় তা তবলিগ তহবিলে জমা দেয়া হয়।
১৯২৭ সালে , পরের বছর, প্রথম প্রদর্শনী বা 'নুমাইশ' অনুষ্ঠিত হয় যাতে লাজনাদের তৈরি হস্তশিল্পের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীতে প্রবেশের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা ছিল।এই প্রদর্শনীতে বিজয়ী হয়েছিলেন আমাতুল মুগনি শামীম সাহিবা নামে একজন লাজনা যিনি রূপালী সুতোয় 'আলাইসাল্লাহো' শব্দটির সাথে নীল মখমলের ব্যানারে সুতার কাজ করেছিলেন। তাকে রৌপ্য পদক দেওয়া হয়েছিল।
১৯২৮ সালের মধ্যে, এর পর থেকে প্রতি বছর একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে থাকে। এই কাজটিকে একটি পৃথক লাজনা বিভাগে পরিণত করার চিন্তা করা হয়, যার মধ্যে প্রদর্শনীটি ও একটি অংশ থাকবে।
স্থানীয় সেক্রেটারিদের প্রতি দিকনির্দেশনা
-
কেন্দ্রের পাঠানো সমস্ত নির্দেশাবলী তার সামর্থ্য অনুযায়ী পালন করা।
-
প্রতি তিন মাস অন্তর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন তৈরী করে তা কেন্দ্রে জমা দিবেন।
-
প্রদর্শনীর জন্য কিছু তৈরিতে লাজনার সদস্যাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা।
-
যেসব সদস্যা শিখতে চান তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্লাসের আয়োজন করা।
নির্দেশনা
নাসেরাত (এ, বি গ্রুপ)
-
প্রথম ৬ মাস- ১) শার্টের বোতাম লাগানো
২) টিপ বোতাম লাগানো
-
দ্বিতীয় ৬ মাস-১) চেইন স্টিচ
২) হেম স্টিচ
লাজনা
-
প্রথম ৬ মাস- ছয়মাস বয়সি বাচ্চার নিমা ও বেবী ফ্রক কাটা ও সেলাই
-
-
দ্বিতীয় ৬ মাস- পেটিকোট কাটা ও সেলাই।