লাজনা ইমা'ইল্লাহর আহাদনামা
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকালাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই। তিনি এক-অদ্বিতীয় তার কোন শরীক নাই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সাাঃ) তার বান্দা ও রসূল।
আমি প্রতিজ্ঞা করছি, ধর্ম ও জাতির খাতিরে আমার জান, মাল, সময় ও সন্তান-সন্ততি কোরবানী করতে সদা প্রস্তুত থাকব। এমনকি সর্বদা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকব। আর খিলাফতে আহমদীয়াকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে প্রত্যেক ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকব, ইনশাআল্লাহ।

বয়আতের তাৎপর্য ও শর্তসমূহ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও মাহ্দীর আগমনের কথা। হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর নির্দেশ রয়েছে তার হাতে বয়াত করার।
মহানবী (সা.) বলেছেন,
"ফা ইযা রাআয়তুমূহু ফা বায়েউহু ওয়া লাও হাবওয়ান আলাস সালজে ফা ইন্নাহু খালীফাতুল্লাহিল মাহ্দী"|
অর্থাৎ যখন তোমরা তাঁর সন্ধান পাবে তখন তাঁর হাতে বয়াত গ্রহণ করবে যদি বরফের পাহাড় হামাগুড়ি দিয়ে ডিঙ্গিয়েও যেতে হয়, কেননা তিনি আল্লাহ্র খলীফা আল্-মাহ্দী।
(ইবনে মাজাহ, বাব-খরূজুল মাহ্দী)
মসীহ্ ও মাহ্দীর সত্যতা কারো কাছে প্রকাশিত হয়ে থাকলে কাল বিলম্ব না করে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর হাতে বয়াত গ্রহন করা উচিত।

আমার প্রিয় বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। এ বছর লাজনা ইমা'ইল্লাহ ১০০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ! তাই বছর জুড়ে আমরা লাজনা ইমা'ইল্লাহর শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। মহান আল্লাহ পাকের কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
হযরত মুসলেহ মাউদ (রা) যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংগঠনের গোড়াপত্তন করেছিলেন তার কতটা আমরা পূরণ করতে পারলাম তা ভেবে দেখা দরকার। ১৯২২ সালের সালানা জলসার বক্তৃতায় তিনি বলেন, “যতদিন পর্যন্ত তোমরা উন্নতি করতে না পার, ততদিন পর্যন্ত ধর্ম জয়ী হতে পারবে না। আমাদের সব উন্নতি, আমাদের সকল কুরবানী সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে, কিন্তু যদি তোমরা তোমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জেনে নিতে পার, তবে কেয়ামত পর্যন্ত এই উন্নতিকে ধরে রাখতে পারবে”।
মহিলাদের ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, জ্ঞানগত ও ধীশক্তির বিকাশে সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেন তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের রাস্তায় চলতে পারে। এবং হযরত মুহাম্মদ (সা) এর শিক্ষা অর্থাৎ প্রকৃত ইসলামের শিক্ষাকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে সফল হয়।
এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা আমাদের শতবার্ষিকীর জন্য কিছু টার্গেট বা লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। সেই অনুযায়ী হযরত খলিফাতুল মসীহ আল খামেস (আই) এর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম যে, শতবর্ষ পূরণের সময় আমাদের প্রতিটি সদস্য অন্ততপক্ষে এইটুকু উন্নতি লাভ করেছে। শতবর্ষ পূর্তির আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আপনারা নিজেদের মূল্যায়ন করুন যে, আমরা আমাদের উদ্দেশ্য পূরণে কতটুকু সফল হয়েছি।